ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করতে চান বলে জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। সেই চেষ্টায় আমরা আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সমমনা ঐক্যজোট) সহযোগিতা পেয়েছি, রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি।’
শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে এ কথা বলেন তিনি।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে, সকল বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনে প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন, সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা। সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা।’
এ সময় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন থাকলে দেশে নানা সমস্যা তৈরি হয়। আমরা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এটাই আশা করি যে, আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি। আমার ভোটের প্রতি কেউ জোর করতে পারেনি, আমার ভোট কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারেনি, আমি আমার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে পেরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ নেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান।
খুলনা গেজেট/এনএম